মুক্তিতে পূর্ণতা - A translation and recreation of English Poet Robert Browning
আজ
সে সাজবে,আয়নার
সম্মুখীন হবে
বার বার।হয়তো
আজ তার
অনেক আনন্দের
দিন, হয়ত
বা অনেকটাই......বাড়িতে
আজ অনেক
লোক, দাদা
শশুরের বিবাহবার্ষিকীর
অনুষ্ঠান।সবাই
সে আয়োজনে
নিয়েই ব্যস্ত।হয়তো
ওর আনন্দের
কারনটা ভিন্ন।
সন্ধ্যার অপেহ্মায়
কাটছে ওর
সারাদিন।চারদিকে
ঘন অন্ধকার
নামার পর
বের হবে
কাঙ্খিত কোন
সুখের সন্ধানে।হ্যাঁ,
আজ ও
আসবে।আমি
তার প্রহর
গুনছি একা
বসে। অপেহ্মামান
আলোহীন একটি
ঘরে, অন্ধকারটা
ভাবনার নদীতে
ডুব দিতে
সাহায্য করে।আবহাওয়া
আজ মোটেও
অনুকূল না।ঝড়
হচ্ছে সাথে
ঝুম বৃষ্টি।
শীতের সময়ে
বৃষ্টির চিত্র
কিছুটা অস্বাভাবিক।এই
দুয়ের মিলনে
পরিবেশ আর
আবহাওয়া হিমশীতল
হয়ে আছে।চোখ
বন্ধ করে
বৃষ্টির সুর
অনুভব করছিলাম।
উঁচু গাছের
শির হতে
বিচ্যুত হওয়া
বৃষ্টিকণা অসাধারন
সুরের সৃষ্টি
করছে।কিন্তু
সেই সুরে
ভিন্নতা এসেছে,
মনে হচ্ছে
নূপুরের শব্দে
দুটি পা
ন্বিক-ন্বিক
ছন্দে এদিকেই
এগিয়ে আসছে।
প্রচন্ড অন্ধকারে
কিছুই দৃষ্টিগোচর
হলনা।শব্দটা
নিকটে এসে
থামল, দরজার
লক খোলাই
ছিলো দরজা
খুলে প্রবেশ
করল সে।হ্যাঁ
এসেছে সে।
অবশেষে।এক
অন্যরকম ভালোলাগা
শরিরটা ছুঁয়ে
গেলো।কিছুই
বল্লনা সে,
টেবিলের দিকে
এগিয়ে গেল
এবং মোমবাতি
জ্বালালো।একটা
বিরাট আলখাল্লা
পরে আছে
ও, মাথায়
একটা সাহেবি
টুপি আর
সম্পূর্ণ ভিজে
আছে।ভেজা
জামা খুলে
চেয়ারে রাখল
আর মাথার
সাহেবি টুপিটাও।তার
লম্বা কেশগুচ্ছ
কোমর পর্যস্ত
নেমে এল।ছোট
ছোট পায়ে
খাটের দিকে
এগিয়ে এল,
আমার পাশেই
বসল।স্যাঁতসেঁতে
পরিবেশটায় উষ্ণতা
ফিরে এসেছে।
ভালো বোধ
হচ্ছে।বিড়বিড়
করে ও
বল্ল ভালোবাসি
তোমাকে।নির্বাক
বসেই রইলাম।কি
বলব বুঝতে
পারছি না,
আজকাল ভিষণ
অস্বস্তি লাগে,
মনেহয় যেন
দোটানায় ভুগছি।সে
আমার মাথা
হাত বুলাল,
তারপর আমার
হাতটা নিয়ে
তার কোমরে
রাখল।চুলগুলো
একপাশে সরিয়ে
আমার মাথা
তার কাঁধে
রাখলো।পুনরায়
বল্ল ভালোবাসি
অনেকটা বেশি।সত্যি
বলতে কেন
জানিনা ওকে
খুব বেচারি
মনেহল।হয়তো
বা সত্যিই
আমাকে হৃদয়ের
গভীর থেকে
অনেকটা ভালোবাসে,
আর তারই
প্রকাশ করতে
চাইছে বার
বার।ওর
চোখ শান্ত
দিঘীর মত,
আজ তা
আমি পড়তে
পারছি।অহংকার
নেই, পাপ
নেই, লোভ
নেই, অাকাঙ্খাও
নেই, বলতে
গেলে ভয়ও
নেই।আছে
শুধু স্নিগ্ধতা,
নিষ্পাপ চখের
চাহুনি আর
পরিশুদ্ধ ভালোবাসা।আজ
ও মুক্ত
সমাজের কিছু
শৃঙ্খল থেকে।নেই
সংকোচ, নেই
দ্বিধা।আছে
পরিশুদ্ধ হৃদয়ের
পরিপূর্ণ ভালোবাসা।চোখে
তার আনন্দের
প্রকাশ। আজ
নিজেকে সমর্পণ
করেছে আমার
কাছে। সম্পূর্ণরূপে।
চিরদিনের জন্য।প্রতিকূল
পরিবেশ, সামাজিক
প্রথা, পারিবারিক
উৎসব অগ্রাহ্য
করে আমার
কাছে ছুটে
এসেছে।তার
চোখে কোন
হতাশার চিন্হ
নেই, নেই
ভয়।সুখি,
অনেক সুখি
আজ আমায়
কাছে পেয়ে।আমার
জন্যই সমস্ত
ত্যাগ তার,
আমিই তার
জিবনে সমস্তকিছুর
উর্ধে।নিজে
জন্য খুব
গর্ব অনুভব
করছি।কিন্তু
এখন পর্যন্ত
একটি কথাও
বলিনি, নির্বাক
আমি।কি
বলবো আর
কি করবো
কিছুই বুঝে
উঠতে পারছিনা
আমি।সত্যিই
ও প্রশংসাতুল্য
একটি অসাধারন
মেয়ে, আর
ও আমার।
শুধুই আমার।মুহূর্তটা
জিবনের শ্রেষ্ঠ
মুহূর্ত মনেহচ্ছে,
যদি না
হারাতাম। সারাজীবন
ধরে রাখা
যেত এ
মুহূর্তটা। কিন্তু
তা হবেনা,
রাত শেষে
হলেই হারিয়ে
যাবে সব।অবশেষে
আমি পেলাম,
কিছু করার
জন্য পেলাম।আমি
ওর সুন্দর
চুলগুলো হাতে
নিয়ে নাড়াচাড়া
করছিলাম আর
দেখছিলাম। চুলের
একটা অংশ
আলাদা করলাম।আর
তা ওরই
গলায় পেচালাম,
এবং শ্বাসরোধ
করে তাকে
মুক্তি দিলাম
এই প্রিথিবীর
সমস্ত যন্ত্রনা
আর শৃঙ্খল
থেকে।আমি
জানি ও
কোন কষ্ট
পায়নি, আর
আমি নিশ্চিত
কোন যন্ত্রনা
অনুভব করেনি।আমি
তাকে তুলে
বসালাম এবং
আবার শোয়ালাম।তার
চোখের পাতা
খুল্লাম, আর
দেখতে পেলাম
এক তৃপ্তির
হাসি। যাতে
কোন যন্ত্রণা
ছিলনা।তার
গলা থেকে
চুলের বাঁধন
খুলে দিলাম
আর মুখের
উপর থেকে
চুল সরালাম।
নিষ্পাপ তার
চেহারা।তার
ঠোঁটে একটি
চুমু দিলাম,
আর তখন
দেখতে পেলাম
ঠোঁটের কোণে
একচিলতে হাসি।এই
হাসি পুর্ণতার,
এ হাসি
সকল চাওয়া
পরিপূর্ণতা পাওয়ার
আনন্দের।পুনরায়
তাকে তুলে
বসালাম এবং
আমার কাঁধে
তার মাথাটি
রাখলাম।কোমরে
হাত রাখলাম। এভাবেই
কাটালাম সম্পূর্ণ
রাত।হয়তো
ও এটাই
চেয়েছিলো।চেয়েছিলো
সমাজের শৃঙ্খল
থেকে মুক্তি,
সংসার থেকে
মুক্তি।আর
হতে চেয়েছিল
একান্তই আমার।হয়তো
ও ভাবতেও
পারেনি ওর
সকল ইচ্ছে
পুরন হবে।এখন
আমরা একসাথেই
থাকব চিরদিন।এই
রাত, এই
সময় কখনো
হারিয়ে যাবে
না।জিবনের
সবচেয়ে আনন্দের,
সবচেয়ে দামি
মুহূর্তটা হারাবেনা
আর কোনদিন।আর
কোন যন্ত্রণা
নেই ওর।নেই
ফিরে যাওয়ার
ভাবনা, নেই
হাজারটা অনাকাঙ্খিত
প্রশ্নের সম্মুখীন
হওয়ার ভাবনা।
সে এখন
সমাজ আর
সংসারের চাপ
মুক্ত এক
স্বাধীন স্বত্বা।আজ
ওর স্বাধীন
জিবন, নেই
কোন প্রকার
শৃঙ্খল।হয়ত
এটাই চেয়েছিলো
সে।তাইতো
সৃষ্টিকর্তা আদৌ
সাজা দেয়নি
আমায়।কৃতকর্মে
কোন প্রকার
ভূল ছিলো
না। এখন
সে শুধুই
আমার, আজকের
এই মুহূর্ত
অমর হয়ে
থাকবে আজীবন।
কখনো মুছে
যাবে না।থমকে
গেছে সময়
চিরদিনের জন্য।_________________লেখা: মোঃ সামছুদ্দিন (সবুজ)x
x
x